২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে গতকাল রোববার খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই দুই মামলায় খালাস পেলেও এখনো চারটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিনি। আইনজীবীদের প্রত্যাশা, বাকি মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে বিজয়ের মাসে ‘ন্যায়বিচারপ্রাপ্তির একটি সুসংবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘আমি বলব যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের মাঝে সহিসালামতে ফিরে আসবেন খুব তাড়াতাড়ি।’
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বাতিল নিয়ে কথা বলতে চান না শেখ হাসিনার নিহত দেহরক্ষী মাহাবুব রশিদের বৃদ্ধ মা–বাবা। তবে আক্ষেপ করে বলেন, ‘বেটা মারা গেছে ২০ বছর, এখন আর বলে কী হবে।’
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলার নতুন তদন্ত শুরু হয়। ২০০৮ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত করা হয় এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে সম্পূরক অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত...
আজ ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ হামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও জীবন দিতে হয়েছিল নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীকে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিষয়ে আগামীদিনে শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই এগোতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তাদের ছাড় দিলে দেশের সাধারণ মানুষ নিগৃহীত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ ঘটনা আমাদের দেশের রাজনীতির ইতিহাসে বড় কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে আছে। ওই দিনের হামলায় অনেকেই ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন, গুরুতর আহতও হয়েছেন কয়েক শ মানুষ। ২১ আগস্ট গুরুতর আহত আইভি রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ২৪ আগস্ট।
বিএনপির আন্দোলনে মানুষ সম্পৃক্ত হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আপনাদের এতই যদি মনে হয়, মানুষ আপনাদের একেবারে গাছে উঠিয়ে সরকার বানিয়ে দেবে। তাহলে চ্যালেঞ্জ দিলাম, নির্বাচনে আসুন। যদি জয়লাভ করেন আমাদের আপত্তি নেই।’
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলার ঘাতকদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। আজ সোমবার নগরীর চান্দগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
খুলনা নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ছিল। তারা সব সময়ই দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে মানুষকে অশান্ত করে রাখতে চায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেতৃত্বে সরাসরি ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমান। খালেদা জিয়া দেশে কারাভোগ করছেন। তারেক রহমান বিদেশে পলাতক। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেনেড হামলার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুনি রাজনৈতিক দলের মদদে গ্রেনেড হামলা হয়। তারা সারা দেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা করে। দেশকে তারা গড়ে তোলে সন্ত্রাস ও
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, একাত্তরের ঘাতকদের দোসররা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
জিয়া পরিবারকে খুনি পরিবার আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া পরিবার মানেই হচ্ছে খুনি পরিবার। বাংলাদেশের মানুষ ওই খুনিকে ছাড়বে না। বাংলাদেশের মানুষ ওদের ছাড়বে না।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘জঘন্য ঘটনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার মো. সিদ্দিক তালুকদার। গ্রেনেডের স্প্লিন্টার ঢুকেছে তাঁর পায়ে।
‘ওই সময় পরিস্থিতি ছিল কেয়ামতের মতো। যেইভাবে বোম (গ্রেনেড) পড়ছে, আল্লাহ পাক শেখ হাসিনারে বাঁচাইছেন। ওই অবস্থার কথা ভাষায় বুঝাইতে পারুম না, বলতেও পারুম না।